রিহ্যাব টেক একটি বেসরকারি শারিরীক পুনর্বাসন চিকিৎসা কেন্দ্র, যা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সহায়ক উপকরণ, কৃত্রিম হাত-পা সংযোজন, মবিলিটি এইডস, ডেভেলপমেন্ট এইডস ও থেরাপিউটিক এইডস প্রদানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা সম্পন্ন ও বিভিন্ন রুগের পুনর্বাসন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকে। প্রতিবন্ধিতা সম্পন্ন ব্যক্তি ও বিভিন্ন রুগে আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক,মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করে। তাছাড়া রিহ্যাব টেক প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স সেবার মান উন্নয়নে গবেষণা, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, এডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। রিহ্যাব টেকের সকল পুর্নবাসন পেশাজীবীগণ বিদেশ থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।

আমাদের সম্পর্কে
লক্ষ্য

আমরা এমন একটি বিশ্ব তৈরি করতে চাই যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা উন্নত, কাস্টমাইজড এবং সাশ্রয়ী মূল্যের সহায়ক ডিভাইসগুলির সহজলভ্যতার মাধ্যমে সম্পূর্ণ কার্যকর, স্বাধীনতা এবং জীবনযাত্রার মান পুনরুদ্ধারের সুযোগ পাবে।

আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের জন্য উচ্চ মানের, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং কাস্টমাইজড প্রস্থেটিক্স, অর্থোটিক্স এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সহায়ক প্রযুক্তি প্রদানের মাধ্যমে আমাদের ক্লায়েন্টদের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের জন্য উচ্চ মানের, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং কাস্টমাইজড প্রস্থেটিক্স, অর্থোটিক্স এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সহায়ক প্রযুক্তি প্রদানের মাধ্যমে আমাদের ক্লায়েন্টদের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মিশন

ভিশন

চেয়ারম্যানের বার্তা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর মতে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১০% প্রতিবন্ধিতা সম্পন্ন। তাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক শারীরিক প্রতিবন্ধী। যে কোনো নিম্ন আয়ের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ০.৭% মানুষের প্রতি বছর প্রস্থেসিস ও অর্থোসিস সেবা প্রয়োজন। অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০ লাখের বেশি মানুষের প্রস্থেসিস ও অর্থোসিস সেবা প্রয়োজন। নগরায়ন, জীবনযাত্রার ধরন , কাজের প্রকৃতি এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে অসংক্রামক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, সেরিব্রাল পালসি (সিপি), ভাস্কুলার ডিজিজ, নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার এবং অন্যান্য রোগ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনা, বার্ধক্যজনিত অক্ষমতা এবং জন্মগত প্রতিবন্ধকতা মোট পঙ্গুত্বের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করছে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে মানসম্পন্ন পুনর্বাসন চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় (স্বাধীন জীবন এবং কর্ম) ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ন। অন্যথায় তারা বড় সামাজিক বোঝা এবং দেশের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসন চিকিৎসা সেবা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের প্রবেশগম্যতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য আমাদের বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র নেই। খুব কম সংখ্যক প্রস্থেটিকস এবং অর্থোটিক্স পেশাজীবি দেশের বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সহায়ক উপকরণ এবং কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন করতে হিমশিম খাচ্ছে। যদিও কিছু পুনর্বাসন কেন্দ্র (বেসরকারি এবং এনজিও) বিদ্যমান রয়েছে তবে তাদের বেশিরভাগই সেবার মান, উপযুক্ত প্রযুক্তি, ক্লিনিকাল জ্ঞান এবং সর্বোপরি পেশাদারিত্বের দিক থেকে সীমাবদ্ধতা রয়েছে ।

এই পরিস্থিতিতে আমরা মানসম্পন্ন পুনর্বাসন চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হল সাশ্রয়ী, হাই-টেক প্রস্থেসিস, অর্থোসিস এবং পুনর্বাসন চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে শারীরিক পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করা

আমাদের টীম

মোঃ আজিজুর রহমান আকাশ

টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজর, রিহ্যাব টেক

মোঃ মুকসেদুর রহমান

ইনচার্জ (প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স সার্ভিস), রিহ্যাব টেক

মোঃ আজিজুর রহমান আকাশ বাংলাদেশের সার্টিফাইড প্রসস্থেটিকস ও অর্থোটিকস প্রফেশনাল। তিনি মবিলিটি ইন্ডিয়া ব্যঙ্গালুরু থেকে আইএসপিও ক্যাটাগরী ২ এবং পরবর্তীতে থাইল্যান্ডের মাহিদুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রস্থোটিকস ও অর্থোটিকস এ বিএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন।

শিক্ষাজীবন শেষে তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুর্নবাসন চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বোবৃহত ও সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান সিআরপি তে তার কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি সিআরপি চট্রগ্রাম এর প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস চিকিৎসা বিভাগের ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বর্নময় কর্মজীবনে তিনি প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস সেবার গুণগত মান উন্নয়নের পাশাপাশি কিভাবে সহজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এ সেবার আওতায় আসতে পারে সে ভুমিকা রেখে চলেছেন। বর্তমানে তিনি রিহ্যাব টেক-র টকেনিকাল এ্যাডভাইজর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোঃ মুকসেদুর রহমান ডিপ্লোমা ইন প্রস্থেটিক্স এ্যান্ড অর্থোটিক্স (ISPO Category-2) কোর্সটি বিএইচপিআই, সিআরপি বাংলাদেশ থেকে সম্পন্ন করেন। প্রশিক্ষণটি আর্ন্তজাতিক সোসাইটি ফর প্রস্থেটিকস্ এ্যান্ড অর্থোটিকস্ (ISPO) স্বীকৃত। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলি ইন্ ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) এর প্রস্থেসিস ও অর্থোসিস বিভাগে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রস্থেসিস ও অর্থোসিস বিষয়ে দেশ বিদেশের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

সিডিডি-তে কর্মরত অবস্থায় তিনি রোহিঙ্গাদের ইমার্জেন্সি পুর্নবাসন কার্যক্রমের সাথেও সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে রিহ্যাব টেক-এ যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি রিহ্যাব টেক-এ ইনচার্জ- (প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স সার্ভিস) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এস. এম. ইমরান শোয়েব, বাংলাদেশে প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস সেবা প্রদানকারী প্রফেশনালদের মধ্যে অন্যতম দিকপাল । তিনি বাংলাদেশের প্রথম সার্টিফাইড প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস প্রফেশনাল। তিনি রাজিব গান্ধী ইউনিভার্সিটি অব হেলথ্ সাইন্স, ব্যঙ্গালুরু, ইন্ডিয়া থেকে সফলতার সাথে প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস এ বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি মাস্টার্স অব ডিজএ্যাবিলিটি ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড রিহ্যাবিলিটিশন ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ্যাডভান্স কোর্স অন ডিজএ্যাবিলিটি, অটিজম এ্যান্ড ইনক্লুসিভ এডুকেশন কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি হিউম্যান স্ট্যাডি- জার্মানি থেকে ট্রান্স ফিমোরাল প্রস্থেসিস এর উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং কলম্বো শ্রীলংকা; সেরিব্রাল পালসি ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং আইএসপিও; হুইল চেয়ার সার্ভিস প্রোভিশন ট্রেনিং-WHO সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি দেশী বিদেশী বিভিন্ন সেমিনার কনফারেন্সে যোগদান, পেপার প্রেজেন্টেশন ও প্যানেল ডিসকাশনে অংশগ্রহণ করে ব্যপক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন।

শিক্ষাজীবন শেষে তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুর্নবাসন চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বোবৃহত ও সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান সিআরপি তে তার কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি সিআরপি এর প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস চিকিৎসা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর সিআরপিতে কর্মকালীন সিআরপিএর প্রসস্থেটিকস ও অর্থোটিকস বিভাগের সেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরণের রিসার্স এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে সক্রিও অংশগ্রহণ করেন।এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ অর্থোটিকস ও প্রস্থেটিকস সোসাইটির সেক্রেটারী ও সহ-সভাপতি হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে বাংলাদেশে এই পুর্নবাসন চিকিৎসা সেবাকে ব্যপকভাবে মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন। তার বর্নময় কর্মজীবনে তিনি প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস সেবার গুণগত মান উন্নয়নের পাশাপাশি কিভাবে সহজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এ সেবার আওতায় আসতে পারে সে ভুমিকা রেখে চলেছেন। বর্তমানে তিনি রিহ্যাব টেক-র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এস. এম. ইমরান শোয়েব

ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, রিহ্যাব টেক

মিঃ অসিত কুমার চক্রবর্তী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজভিত্তিক পুর্নবাসন কাজের মধ্য দিয়ে ২০০২ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ভারতের ব্যঙ্গালুরুতে অবস্থিত মবিলিটি ইন্ডিয়া (এমআই) থেকে অর্থোসিস বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ গ্রহন করে ২০০৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। প্রশিক্ষণটি আর্ন্তজাতিক সোসাইটি ফর প্রস্থেটিকস্ এ্যান্ড অর্থোটিকস্ (ISPO) স্বীকৃত। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলি ইন্ ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) এর প্রস্থেসিস ও অর্থোসিস বিভাগে যোগদান করেন। তিনি সিডিডি-এর অর্থোসিস প্রস্থেসিস বিভাগের ইনচার্জ হিসাবে সফলভাবে তার দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রস্থেসিস ও অর্থোসিস বিষয়ে দেশ বিদেশের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। সিডিডি-তে কর্মরত অবস্থায় তিনি রোহিঙ্গাদের ইমার্জেন্সি পুর্নবাসন কার্যক্রমের সাথেও সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। সিডিডি-তে তার ১৭ বছরের কর্মজীবন শেষ করে তিনি ২০২৩ সালে রিহ্যাব টেকে যোগদান করেন। মিঃ অসিত চক্রবর্তী দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুর্নবাসন সেবা কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি রিহ্যাব টেক-এ ডাইরেক্টর অপারেশন এ্যান্ড সেলস্ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মিঃ অসিত কুমার চক্রবর্তী

ডাইরেক্টর অপারেশন এ্যান্ড সেলস্, রিহ্যাব টেক