সেরিব্রাল পালসি তে আক্রান্ত শিশুদের জন্য কেনও কর্ণার চেয়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দিবো-

আমরা আলোচনা করবো সেরিব্রাল পালসি তে আক্রান্ত শিশুদের জন্য প্রয়োজননীয় একটা সহায়ক উপকরণ কর্ণার চেয়ার বিষয়ে। আমরা সবাই জানি সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুরা নানারকম ডেভেলপমেন্ট মাইলস্টোন থেকে একটু পিছিয়ে থাকে অনান্য শিশুদের থেকে। তাই এসকল শিশুদের জন্য বিভিন্নরকম সহায়ক উপকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। আমরা যদি বলি কাদের জন্য এই কর্ণার চেয়ারের প্রয়োজন? তাহলে বলবো যে সকল শিশুদের হেড বা নেক কন্ট্রোল নাই এবং সাহায্য ছাড়া একেবারেই একা একা বসতে পারেনা তাদের জন্য এই কর্ণার চেয়ারের প্রয়োজন। আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাবো সাধারণত একটি শিশু ছয়মাস বয়স থেকেই বসতে শেখে। তবে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত একটা শিশু হয়তো এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে তার নানার জটিলতার কারণে। সেজন্য আমরা সেরিব্রাল পালসি-তে আক্রান্ত একটা শিশুর বয়স যখন ছয়মাস হয় তখন থেকেই আমরা কিন্তু তাকে কর্ণার চেয়ার প্রদান করতে পারি বা ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিতে পারি। কর্ণার চেয়ারের মাধ্যমে ঐ শিশুটির জন্য আমরা কিন্তু বেশকিছু উপকারিতা নিশ্চিত করতে পারি। কর্ণার চেয়ারে একটা শিশুকে বসালে শিশুটি বেশ ভালো একটা stability পাবে এবং বসার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাপোর্ট পেয়ে থাকে। কর্ণার চেয়ার শিশুটির সঠিক অবস্থান (posture) নিশ্চিত করে থাকে। যার মাধ্যামে শিশুটির বিভিন্নরকমের ডিফরমিটি বা অঙ্গবিকৃতি প্রতিরোধ করে থাকে। আর একটা উল্লেখযোগ্য দিক হলো শিশুটি অনেক বেশী নিরাপদ বোধ করে কর্ণার চেয়ারে বসে থাকার মাধ্যমে।আর সামনে একটা টেবিল থাকার কারনে সেখানে অনেক ধরণের খেলনা দিয়ে বাচ্চাকে আমরা কিন্তু নানাভাবে উৎফুল্ল রাখতে পারি। কর্ণার চেয়ারে যেহেতু শিশুটিকে সঠিক অবস্থানে বসানো যায় তাই এটা কিন্তু তার শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য খুবই সহায়তা করে। আর এটা না বললেই নয় যে যখন কর্ণার চেয়ারে বসে শিশুটি বাড়ীর অনান্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এরমাধ্যমে তার মানসিক স্বাস্থ্যেরও কিন্তু বিকাশ ঘটে। আর আমরা সর্বোপরি বলতে পারি একটা কর্ণার চেয়ারে বসার মাধ্যমে সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুর বসার উন্নতি ঘটায়। যার জন্য আমরা একটি সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুকে উপযুক্ত সময়ে কর্ণার চেয়ার দেওয়ার জন্য সাজেস্ট বা পরামর্শ দিয়ে থাকি।

ডেভেলপমেন্ট এইডস

Rehab Tech

11/26/20241 min read

My post content